জ্যোতির্বিজ্ঞানে অবদানের জন্য ড. আলী আসগরকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। ২২ জুলাই রাজধানীতে এক আয়োজনে
ড. আসগরকে ‘জ্যোতির্বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণে অসামান্য অবদানের জন্য মোহাম্মদ আবদুল জব্বার সম্মাননা’ জানায় জ্যোতির্বিজ্ঞানভিত্তিক সংস্থা বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন আর রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্র।
বাংলাদেশে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার অগ্রগূত মোহাম্মদ আবদুল জব্বার-এর জন্মশতবার্ষিকী পালন করছে বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন।
অনুষ্ঠানের প্রথম ভাগে মোহাম্মদ আবদুল জব্বারের মেজো ছেলে প্রকৌশলী মো. আবদুল মতিন তার বাবার কর্মজীবনের উপর আলোকপাত করেন। তিনি জানান, তার বাবা কোনো প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা পান নি, সম্পূর্ণ নিজ ইচ্ছায় আর নিজ চেষ্টায় জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চা করেছেন। ১৯৮৫ সালে হ্যালি’র ধূমকেতু পুনঃআবির্ভাবের সময় বাংলাদেশের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এ ধূমকেতু দেখার প্রয়োজনীয় তথ্য নিতে আবদুল জব্বারের দ্বারস্থ হোন বলেও জানান তিনি।
অনাড়ম্বর এই অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় ভাগে ড. আলি আসগরের উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠ করা হয়। এরপর বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সংস্থাটির সভাপতি মশহুরুল আমিন ড. আলি আসগরের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।
ক্রেস্ট গ্রহণের পর ড. আলী আসগর তার বক্তব্যে তার স্বপ্নের কথা তুলে ধরেন। তার স্বপ্ন, ঢাকার প্রতিটি এলাকার সবচেয়ে উঁচু ভবনগুলোয় টেলিস্কোপ বসিয়ে শিশুদের আকাশ দেখার সুযোগ করে দেওয়া হবে।
মোহাম্মদ আবদুল জব্বারকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি জানান, তিনি মোহাম্মদ আবদুল জব্বারকে উৎসর্গ করে ‘ধূমকেতু’ বইটি লিখেছেন। তখন তার দৃষ্টিশক্তি কম থাকায় তিনি বলেছিলেন, “আমার দুঃখ আমি পড়তে পারি না।”
আজমল বশির শিহাব, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম / Published: 2015-07-23 15:36:12.0 BdST Updated: 2015-07-23 15:36:12.0 BdST